ভেঙ্গে যাচ্ছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত - SPECIFIC TIME

Breaking

Home Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Saturday, August 22, 2020

ভেঙ্গে যাচ্ছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত

 

জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাবে বঙ্গোপসাগরে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ায় কক্সবাজারের লাবণী পয়েন্ট থেকে ডায়াবেটিক পয়েন্ট পর্যন্ত সৈকতের সাড়ে ৪শ’ মিটার এলাকায় দেখা দিয়েছে ভাঙন। উত্তাল ঢেউ তীরে আছড়ে পড়ায় সৈকতের বিশাল বালিয়াড়ি ক্রমাগত সাগরে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে সাগরতীরের বাসিন্দারা।


পরিবেশ কর্মী ও পর্যটকরা জানান, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা, প্রাকৃতিক পরিবেশ নষ্ট করে যত্রতত্র স্থাপনা নির্মাণ, অব্যাহত পাহাড়কাটা ও অপরিকল্পিত পানি-পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার কারণে সাগরে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন অব্যাহত থাকলে বিশ্বের দীর্ঘতম আকর্ষণীয় সমুদ্র সৈকত লাবণী পয়েন্ট সাগরে বিলীন হয়ে যাবে।


কক্সবাজার পরিবেশ আন্দোলনের সভাপতি ফজলুল কাদের চৌধুরী বলেন, প্রাকৃতিক পরিবেশ নষ্ট করে যত্রতত্র স্থাপনা নির্মাণ অব্যাহত রাখার ফলে সাগরের গতিপথ পরিবর্তন হয়েছে। এ কারণে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে।


শুক্রবার দুপুরে লাবণী পয়েন্টের ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন সৈকত ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও কক্সবাজারের ডিসি মো. কামাল হোসেন। তিনি বলেন, পর্যটকরা যেন সৈকতের ভাঙনকবলিত ও ঝুকিপূর্ণ স্থানে না যান সেজন্য বিচ পুলিশ ও লাইফগার্ডদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। ভাঙন রোধে শিগগিরই সৈকতে জিওব্যাগ ফেলা হবে।



কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী  জানিয়েছেন, ৩-৪ বছর আগে সমুদ্র সৈকতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বেলি হ্যাচারি থেকে কলাতলী মোড় পর্যন্ত ১২শ’ মিটার এলাকায় জিওব্যাগ ফেলা হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়ে এ বছর সেই অংশে নতুন করে ভাঙন দেখা দিয়েছে। 

লাবণী পয়েন্ট থেকে ডায়াবেটিক পয়েন্ট পর্যন্ত সাড়ে ৪শ’ মিটার এলাকায় জিওব্যাগ ফেলার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সৈকতের বালিয়াড়ি ও তীর রক্ষায় পাউবো ও আইডব্লিওএন যৌথভাবে সমীক্ষা করে বেলি হ্যাচারী থেকে ডায়াবেটিক পয়েন্ট পর্যন্ত স্থায়ী বাঁধ ও ওয়াকওয়ে নির্মাণের জন্য প্রতিবেদন তৈরি করে সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে এক মাসের মধ্যে কাজ শুরু করা যাবে।

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad

Responsive Ads Here