কক্সবাজারের চকরিয়ায় মা-মেয়েসহ ৫ জনকে প্রকাশ্যে পেটানোর অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসন।
ইতোমধ্যে জেলা প্রসাশকের নির্দেশে কমিটি কাজ শুরু করেছে বলেও নিশ্চিত করেন কমিটির প্রধান ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক শ্রাবস্তী রায়। যাদেরকে প্রয়োজন মনে হবে তাদেরকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এছাড়া তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সমালোচনার জেরে বিষয়টি সামনে আসে। তবে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের সামনে মারধরের অভিযোগ করা হলেও ফেসবুক লাইভে এসে তিনি পুরো বিষয়টিকে অস্বীকার করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করেছেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসন।
উল্লেখ্য, শুক্রবার কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় হারবাং ইউনিয়নের পহরচাঁদা এলাকায় গরু চুরি করার অপবাদ দিয়ে মা-মেয়েসহ ৫ জনকে বেধড়ক মারধর করেন স্থানীয় কিছু কুলাঙ্গার সন্ত্রাসী।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ওই ছবিগুলোতে দেখা যায়, কোমরে রশি বেঁধে তাদেরকে প্রকাশ্য হাঁটিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে।
সেখানে চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম নিজে আবার তাদের মারধর করেন। একপর্যায়ে তাদের শারীরিক অবস্থার গুরুতর অবনতি হলে পুলিশ এসে মা ও মেয়েকে উদ্ধার করে চকরিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে চকরিয়া থানার হারবাং তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার স্থানীয়রা ফাঁড়িতে খবর দিলে আমরা ফোর্স পাঠাই। আমাদের ফোর্স গিয়ে গুরুতর অবস্থায় মা-মেয়েকে উদ্ধার করে আমাদের হেফাজতে নিয়ে আসে। আমরা তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয় এক ব্যক্তির দায়ের করা গরু চুরির মামলায় তাদের অভিযুক্ত করা হয়েছে।
সূত্রে আরো জানা যায় , অসহায় মায়ের মেয়েটিকে বিয়ে করতে না পারায় পরিকল্পিত ভাবে গরু চুরির অভিযোগে এনে বেধড়ক মারধর করেন।
No comments:
Post a Comment