পাল্টে গেছে কক্সবাজার শহরের গোলদিঘীর পাড়ের চিত্র। - SPECIFIC TIME

Breaking

Home Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Friday, July 31, 2020

পাল্টে গেছে কক্সবাজার শহরের গোলদিঘীর পাড়ের চিত্র।



কক্সবাজার শহরের ঐতিহ্য তিন পুষ্করিণী লালদিঘী, গোলদিঘী ও বাজারঘাটা (নাপিতাপুকুর) পুকুরটি পর্যটন কেন্দ্র করার উদ্যোগ নিয়ে ছিলেন সরকার। 

বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের পর্যটন নগরী কক্সবাজারের বেহাল চিত্র বদলে আধুনিকায়নকরণের উদ্যোগ নিয়ে ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা। উদ্যোগ হিসেবে কক্সবাজারে ঐতিহ্য তিনটি পুকুরগুলোকে পর্যটনবান্ধব করার প্রকল্প হাতে দিয়েছিলেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (কউকে)। 

এটি বাস্তবায়ন করার জন্য ৩৬ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়ে ছিলো বলে জানিয়েছেন কউক চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমদ। বর্তমানে প্রকল্পের কাজ শেষের দিকে।

তিনি বলেছেন, কক্সবাজারকে একটি পরিকল্পিত পর্যটন নগরী হিসেবে গড়তেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠন করেছিলেন। 

সৈকত এলাকায়  পুরো শহরে বিকল্প সড়কসহ নানা প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়ে ছিলো। এরমাঝে সৈকতের লাবণী রাস্তার মাথায় রূপচাঁদা ঝর্ণা, শরণার্থী ত্রাণ ভবন মোড়ে চাম্পান ঝর্ণা ও বিমানবন্দর রাস্তার মাথায় তারামাছ ও শামুক ঝর্ণার নান্দনিকতা উপভোগ করছেন পর্যটকসহ স্থানীয়রা। অত্যাধুনিক বাতি লাগিয়ে রাতের বেলা আলোকিত করা হয় মেরিন ড্রাইভ সড়কে। 

এসবের সঙ্গেই যোগ হয়ে ছিলো কক্সবাজার শহরের ঐতিহ্য তিন পুষ্করিণী পুকুর। বর্তমানে প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষের দিকে হলেও  পাল্টে গেছে কক্সবাজার শহরের গোলদিঘীর পাড়ের চিত্র।


কউক সূত্র মতে, কক্সবাজার শহরের লালদিঘী, গোলদিঘী ও বাজারঘাটার নাপিতা পুকুর পুনঃখননসহ ভৌত সুযোগ সুবিধার উন্নয়ন ঘটিয়ে আধুনিকায়ন করা হয়েছে। প্রকল্পে রয়েছে, সবুজ বেষ্টনী, সাইকেল স্ট্যান্ড, পুকুরের পাড় বাঁধাই, ওয়াকওয়ে নির্মাণ, রিটেনিং ওয়াল নির্মাণ, আলোকসজ্জা, বিদ্যুতায়ন এবং পয়ঃনিষ্কাশন ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থা। ৩৬ কোটি টাকা প্রকল্প ব্যয় নির্ধারত করে  সরকারিভাবে ই-টেন্ডারের মাধ্যমে প্রকল্প তিনটির কাজ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দিয়েছিলেন। ২০২০ সালের জুনের দিকে প্রকল্প তিনটির কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে বন্ধ ছিলো প্রকল্পের কাজ। বর্তমানে প্রায় ৭০% কাজ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন।

কউক চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমদ বলেন, কক্সবাজারকে সাজাতে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া দায়িত্বের তিন বছর পার করছি। প্রথম বছর পুরো জেলার সমস্যা ও সম্ভাবনাগুলো শনাক্ত করেছি। ২য় বছরে এগুলোর প্রকল্প তৈরি ও একনেকে অনুমোদনের জন্য সম্ভাব্য বাজেট চেয়ে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে এবং কিছু কিছু প্রকল্প পাসও হয়েছে। দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্বে আসার পর অনুমোদন ও বাজেট পাওয়া প্রকল্পগুলোর কিছু কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। চলমান প্রকল্পের মাঝে রয়েছে কউকের বহুতল ভবন। আর কক্সবাজার শহরের তিন পুষ্করিণী পুকুরকে আধুনিকায়ন করা। 

প্রকল্পের কাজ অনেকটা শেষ হলেও কক্সবাজার শহরের গোলদিঘী পাড়ের প্রকল্পটি কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। পাল্টে গেছে কক্সবাজার শহরের গোলদিঘী পাড়ের চিত্র। বর্তমানে কক্সবাজারে পর্যটন আসা বন্ধ থাকলেও প্রতিদিন দেখতে আসতেছে কক্সবাজারের স্থানীয় বাসিন্দারা।

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad

Responsive Ads Here