নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তারগণ হাসপাতাল ডিউটি ফাঁকি দিয়ে প্রাইভেট চেম্বার নিয়ে ব্যাস্ত। - SPECIFIC TIME

Breaking

Home Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Wednesday, July 22, 2020

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তারগণ হাসপাতাল ডিউটি ফাঁকি দিয়ে প্রাইভেট চেম্বার নিয়ে ব্যাস্ত।

নাইক্ষ্যংছড়ির একমাত্র ৫০শয্যা বিশিষ্ট  উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এটি কচ্ছপিয়া, গর্জনিয়া এবং নাইক্ষ্যংছড়ির গরীব অসহায় মানুষের একমাত্র ঠিকানা।এখানে দায়িত্বরত আছেন অনেক গুণি ডাক্তারগণ।কিন্তু দেখা যাচ্ছে  ওনারা হাসপাতালের নির্দিষ্ট ডিউটি ফাঁকি দিয়ে, নির্দিষ্ট টাইমে নাইক্ষ্যংছড়ি এবং গর্জনিয়া বাজারে  চেম্বার নিয়ে বসে থাকেন।যেমন ডাঃ রনজন চৌধুরী এবং ওনার স্ত্রী ডাক্তার সাহেবা গর্জনিয়া বাজার,আর ডাঃ তপন চৌধুরী নাইক্ষ্যংছড়ি বাজার চেম্বার করেন।পত্যক্ষদর্শীদের মতে,সকাল বেলা হাসপাতালে সঠিক নিয়ম মেন্টেইন হলেও বিকেল টাইমে থাকেনা কোন নিয়ম।একজন পেশেন্টের অভিভাবকের সাথে কথা বললে, তিনি জানান,আমি আমার ৮মাসের বাচ্চা নিয়ে চিকিৎসা নেওয়ার আশায়, এসেছি এই হাসপাতালে।আমি ৩.৩০টা  এসেছি,এসে দেখি জরুরী বিভাগে ডিউটিরত কোন ডাক্তার নেই।অনেক ঘুরাঘুরি এবং খুঁজাখুঁজির পর, এসিস্টেন্ট একজন মহিলাকে পায়, উনার কাছে ডাক্তার কোথায় জানতে চাইলে উনি বলেন বাসায় আছেন এখনি চলে আসবেন।অপেক্ষা করতে করতে ৪টা বেজে যায়। কিন্তু কোন ডাক্তার আসে  নাই।এদিকে আমার বাচ্চার অবস্থাও গুরুতর।আবার গেলাম এসিস্টেন্ট মহিলার কাছে, বললাম যে ডাক্তার ডিউটিতে আছেন ওনার ফোন নাম্বারটা দেন,তিনি না দিয়ে চলে গেলেন। পরে এদিক ওদিক ছোটাছুটি করতে করতে একজন ঔষুধ কোম্পানির এমআর থেকে ডাক্তার তপন সাহেবের নাম্বার নিলাম।কল দিলে প্রথমে ২/১বার রিসিভ হয়নি পরে রিসিভ করলে সমস্যার কথা উনাকে জানালাম।তিনি বললেন আসতেছি।আবারও অপেক্ষা করতে করতে ৫টা বেজে গেল।এবার তিনি উপস্থিত হলেন,বাচ্চাকে দেখার পর কিছু ঔষধ লিখে দিলে এবং ভর্তি রাখতে বললেন।উপরে ২ তলায় ওয়ার্ডে গিয়ে দেখি ভর্তি নেওয়ার মত ডিউটিতে কোন নার্স নেই।আবার আসলাম ডাক্তারের কাছে, ওনাকে জানালাম উপরে কোন সিস্টার নেই।উনি বললেন বাসায় গেছে হয়তো এখন চলে আসবে। অনেক্ষণ অপেক্ষার পরও তার কোনো দেখা না পেয়ে আবারও এসিস্টেন্টের কাছে গিয়ে কল দিলাম।পরে তিনি আসেন ৫.৩০টায়।এদিকে আমার বাচ্চার অবস্থা জটিল হয়ে গেল।উনি ইনজেকশন দিতে দিতে বাচ্চার অবস্থা খারাপ হয়ে যাওয়ায় ডাঃ রনজন সাহেবকে ফোন দেন সিস্টার। তিনি এসেই রেফার করে দিল কক্সবাজার। কিন্তু আমি রিকোয়েস্ট করে রেখে দিলাম সম্পূর্ণ রিস্ক নিয়ে।আলহামদুলিল্লাহ রনজন সাহেবের ইমার্জেন্সি ট্রিটমেন্টের পর কিছুটা সুস্থ। পরে ৪দিন থেকে বাসায় আসলাম।এই হল হাসপাতালের বর্তমান অবস্থা। এই যদি হয় চিকিৎসক দের ডিউটি তাহলে সাধারণ মানুষগুলো কোথায় যাবেন?
মানসম্মত সেবা এবং যথাযথ চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য সাধারণ মানুষ  হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা প্রদানের প্রতি নজর দেওয়া আহ্বান জানায়। এবং হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা আরো উন্নত করা হওয়া উচিত।

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad

Responsive Ads Here