টেকনাফ পুলিশের গুলিতে এক ইউপি এবং দুই মাদক পাচারকারী নিহত। - SPECIFIC TIME

Breaking

Home Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Friday, July 24, 2020

টেকনাফ পুলিশের গুলিতে এক ইউপি এবং দুই মাদক পাচারকারী নিহত।

টেকনাফ থানা পুলিশের সাথে গোলাগুলির ঘটনায় উখিয়ার এক ইউপি সদস্যসহ দুই অপরাধী নিহত এবং ৫ পুলিশ সদস্য আহত হন।(০৬)

ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে অস্ত্র,গুলি ও ইয়াবা।(০৬)

পুলিশের পাঠানো তথ্যে জানা যায়, ২৩ জুলাই (বৃহস্পতিবার) ২টার দিকে ২০১৮ সালের একটি মাদক মামলার আটক ইউনুছ নামে এক আসামীকে সাথে নিয়ে টেকনাফ মডেল থানার (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশের নেতুত্বে পুলিশের একটি দল উখিয়া কুতুপালং এলাকায় মাদক বিরোধী একটি সাঁড়াশী অভিযান পরিচালনা করে মাদক মামলার এজাহার নামীয় পলাতক আসামী কুতুপালং’ এলাকার মৃত কালা মিয়ার পুত্র মৌলভী বখতিয়ার প্রকাশ বখতিয়ার মেম্বার  এবং কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা ইউসুফ আলীর পুত্র মোঃ তাহের কে আটক করতে সক্ষম হয়।(০৬)

এসময় তাদের কাছ থেকে মাদক বিক্রির নগদ ১০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে আটক আসামীদের থানায় নিয়ে আসা হয়।এরপর ধৃত আসামীদ্বয়কে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের সাথে মাদক কারবারে জড়িত বেশ কয়েকজন ইয়াবা ব্যবসায়ীদের নাম ঠিকানা স্বীকার করে এবং টেকনাফ উপজেলা হ্নীলা ওয়াব্রাং এলাকার সৌদি প্রবাসী নুর হোসেনের একাশি গাছের বাগানের ভিতর ইয়াবা ও অস্ত্র মজুদ আছে বলে স্বীকারোক্তি দেয়।(০৬)


এরপর আসামীদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য গুলো পুলিশের উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে ২৪ জুলাই (শুক্রবার) গভীর রাত দেড়টার দিকে হ্নীলা ওয়াব্রাং এলাকায় অভিযানে গেলে আটক আসামীদের সহযোগীরা পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ী গুলি শুরু করলে (এএসআই) মাঝহারুল ইসলাম,(এএসআই) ফকরুজ্জামান,কনেষ্টবল মোঃ শহিদুল ইসলাম, মোঃ হাবিব ও আবু হানিফ নামে ৪ পুলিশ সদস্য আহত হয়। এরপর আত্মরক্ষার্থ পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। দুই পক্ষের গোলাগুলিতে আটক আসামী বখতিয়ার মেম্বার ও রোহিঙ্গা তাহের গুলিবিদ্ধ হয়। উভয় পক্ষের গোলাগুলি থেমে যাওয়ার পর পুলিশ সদস্যরা গুলিবিদ্ধ দুই আসামীকে উদ্ধার করে টেকনাফ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করে সেখানে পৌছার পর দায়িত্বরত ডাক্তার তাদের দুই জনকেই মৃত ঘোষনা করে।(০৬)


পুলিশের দাবী ঘটনাস্থল তল্লাশী করে দেশীয় তৈরী ৫টি এলজি,১৭ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ১৩ রাউন্ড কার্তুজের খোসা,২০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।(০৬)

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে (ওসি) প্রদীপ আরো বলেন আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে মাদক পাচার জিরো ট্রলারেন্স নিয়ে আসার জন্য মাদক ব্যবসায় জড়িত অপরাধী যত বড় প্রভাবশালী ব্যাক্তি হোক না কেন চল যাই যুদ্ধে, মাদকের বিরুদ্ধে’ পুলিশের চলমান এই যুদ্ধ থেকে কেউ রেহাই পাবেনা।(০৬)

পাশাপাশি যে সমস্ত অপরাধীরা এখনো মাদক ব্যবসায় জড়িত তাদেরকে আইনের আওয়তাই নিয়ে আসার জন্য তিনি স্থানীয় জনগনের সহযোগীতা কামনা করেন।(০৬)

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad

Responsive Ads Here