এ সুযোগকে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা ও ইজিবাইক (টমটম) এ সড়কে চলাচলের একমাত্র বাহন হয়ে দাড়িয়েছে। তারা করোনা এবং পরিবহন সংকটের সুযোগকে পুজি করে অটোরিক্সা ও টমটম চালকরা লাগামহীন ভাড়া আদায় করছে। এসব দেখার কেউ নেই।
এখন এসব লোভী চালকদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে এসড়কে চলাচলকারি যাত্রীরা। ক্ষুব্দ যাত্রীরা কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মহোদয় এবং রামুর মানবিক নির্বাহী অফিসার নামে খ্যাত ইউএনও প্রণয় চাকমা সুদৃষ্টি কামনা করে ন্যায্য ভাড়া আদায় এবং এ সড়কে অবিলম্বে মিনিবাস সার্ভিস চালুর জোর দাবি জানান।
রামু লাইন সার্ভিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, জেলা আইনজীবি সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট নুরুল ইসলাম জানান, যাত্রী সাধারণের চাহিদা থাকলে এবং কারো আপত্তি বা বাধা না পেলে আবারো ওই সড়কে রামু লাইন সার্ভিসের মিনিবাস চলাচলের উদ্যোগ নেয়া হবে।
গর্জনিয়া ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি হাফেজ আহমদ জানিয়েছেন, করোনার আগেও আমরা সিএনজি ভাড়া ছিল ৪০ টাকা গর্জনিয়া বাজার হইতে রামু। করোনার কথা বলে তারা ৭০-৮০ টাকা জনপ্রতি ভাড়া নিচ্ছে। তিনি এ সড়কে মিনিবাস সহ অন্যান্য পরিবহন চলাচলের উদ্যোগ গ্রহণ করতে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছেন।
জানা গেছে, এ সড়কে রামু লাইন সার্ভিসের মিনিবাস চলাচল করলেও জীপ চালক-শ্রমিকদের আধিপত্যের কারণে কয়েকবছর ধরে বন্ধ রয়েছে। চলাচলকারি জীপগুলোও জরাজীর্ণ হওয়ায় এখন এসড়কে চলাচল করছে না।
গর্জনিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা বিএনপি নেতা মুহিবুল্লাহ চৌধুরী জিল্লু জানিয়েছেন, রামু-নাইক্ষ্যংছড়ি-গর্জনিয়া সড়কে সিএনজি চালকদের দৌরাত্মা চরম আকার ধারণ করেছে। দিনের বেলায়ও সিএনজি চালকরা যাত্রীদের জিম্মি করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করেন। সন্ধ্যা হলেই ভাড়ার পরিমান বেড়ে যায় দ্বিগুন। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের উদ্দেশ্যে চালকরা কৌশলে গাড়ির কৃত্রিম সংকটও সৃষ্টি করে।
কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি নাছির উদ্দীন সিকদার সোহেল জানিয়েছেন, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা এবং রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া, গর্জনিয়া ও কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের লাখো মানুষের চলাচলের একমাত্র সড়ক এটি। অথচ অতি জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কে সিএনজি-টমটম ছাড়া অন্য কোন গাড়িই পাওয়া যায়না। যা খুবই দূঃখজনক। আর এ সুযোগে লোভী চালকরা যাত্রীদের জিম্মি করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের মহোৎসব শুরু করেছে। তিনি অনতিবিলম্বে এ সড়কে মিনিবাস সহ যাত্রী সহায়ক বিভিন্ন পরিবহণ সার্ভিস চালুর দাবি জানান।
কছপিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক এম সেলিম জানান, এ সড়কে প্রতিদিন স্কুল-কলেজগামী হাজার হাজার শিক্ষার্থী, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারী সহ সর্বস্তুরের জনতা চলাচল করেন। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের কারণে গরীব ও হতদরিদ্র মানুষ চরম বিপাকে রয়েছেন। তাই এ সড়কে যাত্রী পরিবহণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের কর্মকর্তা ও পরিবহন মালিকদের আন্তরিক ভূমিকা রাখতে আহ্বান জনান।
রামু উপজেলা সিএনজি চালক-শ্রমিক সমবায় সমিতির নেতা নবী হোসেন জানান, রাত বেশী হলে চালকরা একটু বেশী ভাড়া নিতে চায়। তবে করোনা কালে তিন জনের বেশি লোক নেয়া যায়না তাই এক জনের ভাড়া ৭০ টাকা করে নিচ্ছে। এর বেশি ভাড়া নেয় না। তিনি এ সড়কে সিএনজি ছাড়াও টমটম, মাইক্রো ও জীপ চলাচল করে বলে জানান।
গর্জনিয়া বাজারের ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম জানান,করোনা কালে যদি রামু হইতে কক্সবাজারের সিএনজি গুলো আগের ন্যায় ভাড়া নিচ্ছে। শুধু আমাদের রামু নাইক্ষ্যংছড়ি-গর্জনিয়া সড়কটি কি বাংলাদেশের বাহিরে? কেন প্রশাসন এ বিষয়ে দেখেও না দেখার ভান করে আছে। ইউএনও, ওসি মহোদয় চাইলে সব ঠিক হয়ে যাবে। তিনি কচ্ছপিয়া ও গর্জনিয়া মানুষের এ সমস্যা নিরসনে তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এছাড়াও গর্জনিয়া-কচ্ছপিয়ার হাজার হাজার মানুষকে অতিরিক্ত ভাড়া থেকে মুক্তি পেতে চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও আবু মোঃ ইসমাঈল নোমানের সুদৃষ্টি কমনা করেন। কিন্তু এখনো চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলামের কোন সাড়াশব্দ নেই। যাত্রীরা এই নিয়ে খুব জানিয়েছেন।
No comments:
Post a Comment